সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার ২০টি উপায় ২০২৫ - সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ২০২৫

আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৫ আবেদন করার নিয়মসরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৫ না জানার কারণে আমাদের অনেক টাকা খরচ করে বিদেশে যাওয়া লাগে। আপনি যদি দালালের সহযোগিতা ছাড়া সরকারিভাবে বিদেশে যেতে চান তাহলে আর্টিকেলটা আপনার জন্য। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

সরকারিভাবে-বিদেশ-যাওয়ার-উপায়-২০২৫
বিদেশ যাওয়ার জন্য সাধারণত অনেকেই দালালের সহযোগিতা নিয়ে থাকে। যার কারণে কম টাকা খরচের বদলে অনেক বেশি টাকা খরচ হয়ে যায়। আবার এতে টাকা মার যাওয়ার ও ভয় থাকে। তাই এই আর্টিকেলে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

পেজ সূচীপত্রঃ  সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৫

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৫

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৫ সম্পর্কে আমাদের কম বেশি জানা প্রয়োজন কেননা বর্তমান সময়ে টাকা আয় করার জন্য অনেক মানুষ বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। কারণ বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাকরির সুযোগ না থাকার কারণে পারিবারিক খরচ মেটাতে সকলে হিমশিম খায়। বর্তমান সময়ে একটি সংসার চালানোর জন্য যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় তা একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যের জন্য আয় করা অনেক কঠিন।

বাংলাদেশে চাকরির অভাবে অনেক বেকার যুবক হতাশায় ভোগে। যার কারণে পরিবারের দায়িত্ব নিতে শেষমেষ টাকা-পয়সা জোগাড় করে বিদেশে পাড়ি দিতে হয়। বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রায় সকলেই দালালের সহযোগিতা নিয়ে থাকে। যার কারণে বিদেশে যেতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় বিদেশে গিয়েও কাজ পায় না এবং অনেকের টাকা মার যায়। তবে আপনি জানলে অবাক হবেন যে সরকারি ভাবেও বিদেশ যাওয়া যায়।

সরকারিভাবে বিদেশে যেতে পারলে খরচ অনেক কম হয় এবং কাজ না পাওয়ার ভয় থাকে না। প্রত্যেক বছর সরকার সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন তাহলে আপনিও চাইলে কম খরচে সরকারি ভাবে বিদেশে যেতে পারবেন এবং সেখানে গিয়ে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটা হল আপনার ফোন বা ল্যাপটপ থেকে গুগল প্লে স্টোর গিয়ে সেখান থেকে Ami Probashi নামে একটি অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে। অ্যাপসটি ইন্সটল হয়ে গেলে তারপর অ্যাপসটি ওপেন করে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনার কিছু ডকুমেন্ট লাগতে পারে যেমন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্ট।

পাসপোর্ট এর সকল যাবতীয় তথ্য এখানে দিয়ে তারপর এই অ্যাপসটি রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। তারপর আপনাকে বেছে নিতে হবে আপনি কোন দেশে যেতে ইচ্ছুক। আপনি যে দেশে যেতে চান সেটা সিলেক্ট করতে হবে। দেশ সিলেক্ট করার পর আপনাকে সেই দেশের ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে।

Ami probashi এই অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি বিদেশ যাওয়া সম্পর্কে সকল বিষয় জানতে পারবেন যেমন আপনি কোন দেশে যেতে চান, সেই দেশে গিয়ে কোন কাজ করতে চান, কোন কাজে কত টাকা বেতন পাওয়া যাবে এবং ওই প্রতিষ্ঠানে কতদিন কাজ করা যাবে এই সকল বিষয়ে। এজন্য আপনাকে আগে এ সম্পর্কে সমস্ত বিষয় জেনে তারপর আবেদন করতে হবে এবং আবেদন করার পরও আপনার দেওয়া সকল তথ্যগুলো আপনাকে ভালোভাবে যাচাই বাছাই করে নিতে হবে।

এছাড়াও আপনি যে কাজ করতে চান সেই কাজের উপর আপনার কোন দক্ষতা রয়েছে কি না সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে হবে। আর যদি আপনার দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে তার সঠিক প্রমাণ দিতে হবে। এরপর আপনার কাগজপত্র এবং সমস্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে তারা যদি আপনাকে দক্ষ ভাবে তাহলে তখন আপনার ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য আপনাকে ডাকবে।

আর ইন্টারভিউ এ আপনি যদি পাস করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই সরকারি সহায়তায় কম খরচে বিদেশে যেতে পারবেন। এবং বিদেশে গিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন আবার সেই টাকা খুব সহজেই বাড়িতে পাঠাতে পারবেন। আর যদি আপনি উল্লেখিত কাজের ভিত্তিতে সিলেক্টেড না হন তাহলে যে কোন একটি সরকারি এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে তাদের মাধ্যমে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে পারবেন। তারা সরকারিভাবে সমস্ত কার্যক্রম করে দেবে।

তবে জেনে রাখা ভালো যে, কোন ধরনের সরকার এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে গেলে হয়তোবা খরচ একটু বেশি লাগতে পারে। কেননা যে কোন এজেন্সির মাধ্যমে সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে হলে তাদের খরচ বাবদ কিছু টাকা লাগবে। আপনি যেহেতু উল্লেখিত কাজের উপর দক্ষতা না থাকার কারণে বিকল্প খুজছেন তাই এই সরকারি এজেন্সি হতে পারে আপনার সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার বিকল্প পদ্ধতি। আজকের এই আর্টিকেলে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

বিদেশে যাওয়ার সরকারি এজেন্সি

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জানা জরুরী। তার মধ্যে একটি হলো বিদেশ যাওয়ার সরকারি এজেন্সি। সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য আমাদের দেশে বেশ কিছু এজেন্সি রয়েছে। আপনি যদি এসব এজেন্সি সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকে তাহলে কম খরচে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে পারবেন। সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার একটি ভাল দিক হচ্ছে অল্প খরচে বিদায় যাওয়া যায়। আবার এর নিরাপত্তাও অনেক বেশি। বিদেশ যাওয়ার কিছু সরকারি এজেন্সির নাম দেওয়া হলো-

বিদেশ যাওয়ার কিছু সরকারি এজেন্সিঃ

  • 4  Site International Ltd
  • 5M International Ltd
  • A B M Overseas Ltd
  • A Halim International Ltd
  • A N Z Group Multi Mega Services
  • A A Overseas Ltd
  • A B Establishment Ltd
  • A M Air Travels Ltd
  • A J Corporation
এই এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আপনি চাইলে খুব সহজেই সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে পারবেন। এগুলো ছাড়াও আরো অনেক সরকারী এজেন্সি রয়েছে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য। উপরের আলোচনা গুলো আপনাকে সরকারিভাবে বিদেশে যেতে সঠিক ধারনা দিবে।

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার ওয়েবসাইট

সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার ওয়েবসাইট রয়েছে। আপনি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সঠিকভাবে আবেদন করে সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে পারবেন। ওয়েবসাইটটির নাম হলো https://Probashi.gov.bd । এছাড়াও আপনি মোবাইল ফোন থেকে Ami Probashi অ্যাপ ইনস্টল করে সেখান থেকে আবেদন করতে পারবেন সরকারি ভাবে যাওয়ার জন্য। এই প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে সরকারিভাবে যাওয়ার বড় সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং একই সাথে অনেক কম খরচে বিদেশে যাওয়া যায়।

এক্ষেত্রে কোনরকম দালাল এর প্রয়োজন পড়ে না যার কারণে টাকার পরিমাণ অনেক কম লাগে। তবে আপনি যদি এই প্রক্রিয়ায় না গিয়ে দালালের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে খরচ অনেক বেশি হবে আবার কোন কোন সময় টাকা মার যাওয়ারও অশঙ্কা থাকে। তাই সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার নিয়ম গুলো ভালোভাবে জেনে সঠিক তথ্য পূরণ করে আবেদন করুন এবং কম খরচে সরকারি সহায়তায় বিদেশে গিয়ে কাজ করুন।

বিদেশে কোন কাজে চাহিদা সবচেয়ে বেশি

বিদেশে কোন কাজে চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। কেননা কাজের চাহিদা অনুযায়ী সকলেই চাই একটি সুন্দর দেশে গিয়ে সুন্দর এবং সহজ কাজ পেতে। আসলে বিদেশে যায় সকলেই কাজ করার উদ্দেশ্যে। বিদেশ যাওয়ার মূল উদ্দেশ্যই হলো কাজ করে সেখান থেকে টাকা রোজগার করা। বিদেশ যাওয়ার আগে অনেকেই এটা নিয়ে চিন্তা করে যে বিদেশে আসলে কোন কাজগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
বিদেশে যে কাজগুলোর চাহিদা সব থেকে বেশি সেগুলো হলো- ড্রাইভিং, ক্লিনার ম্যান, ফ্যাক্টরি শ্রমিক, ডেলিভারি ম্যান, ইলেকট্রিক কাজ, গ্যারেজ মেকানিক, বিল্ডিং এর কাজ, বাগান দেখাশোনার কাজ ইত্যাদি। তাই বিদেশ যাওয়ার আগে এসব কাজগুলো সম্পর্কে কমবেশি অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন।আপনার যদি এসব কাজের প্রতি কম বেশি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই এসব কাজগুলো করে বিদেশে গিয়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বিদেশে কোন দেশের বেতন সবচেয়ে বেশি

বিদেশে কোন দেশের বেতন বেশি এই সম্পর্কে অনেকের জানার আগ্রহ। কেননা সবাই বিদেশে যায় মূলত টাকা রোজগারের জন্য। তাই বিদেশ যাওয়ার আগে সকলেই এটি নিয়ে অনেক চিন্তায় থাকে যে কোন দেশে গেলে ভালো হবে এবং কোন দেশে গেলে বেশি বেতনের কাজ পাওয়া যাবে। বিদেশে কোন দেশের বেতন বেশি এ সম্পর্কে বলতে গেলে, এইচএসবিসি ব্যাংক এর একটি জরিপে দেখা যায় যে কোন দেশের বেতন এবং সুবিধা সবচেয়ে বেশি এর মধ্যে শীর্ষস্থানে যে ১০ টি দেশ রয়েছে সেগুলো হলো-

  1. জার্মানি
  2. সুইজারল্যান্ড
  3. সুইডেন
  4. সংযুক্ত আরব আমিরাত
  5. অস্ট্রিয়া
  6. যুক্তরাজ্য
  7. হংকং
  8. নরওয়ে
  9. সিঙ্গাপুর
  10. বাহারাইন
উক্ত জরিপে দেখা যায় এই ১০ টি দেশের বেতন এবং সুবিধা সব থেকে বেশি। আর উক্ত দেশগুলোতে বেতন এবং সুযোগ সুবিধা বেশি হওয়ার কারণ হলো এই দেশগুলোতে বসবাসকারী প্রবাসীদের বাৎসরিক বেতন এবং সুযোগ সুবিধা ও কাজের পরিবেশ অনেক ভালো এবং বেশি। যার কারণে অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় এই দেশগুলো জরিপের মাধ্যমে শীর্ষ ১০ টি দেশের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যায় এই সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। বর্তমানে বাংলাদেশে বেকারত্বের ভার অনেক বেশি হওয়ায় একটা সময় পর সকলেই বিদেশ যাওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করছে। কেননা বাংলাদেশের বেকার বসে না থেকে তারা বিদেশে গিয়ে টাকা রোজগার করে তাদের সংসার চালাতে চায়।

তবে চাইলেই যে কোন দেশে সবাই যেতে পারে না। সামর্থ্য অনুযায়ী কেউ কেউ অনেক উন্নত দেশে যায় এবং অনেকে আশেপাশের কোন দেশে গিয়ে কাজ করে। তাই অনেকেই জানতে চায় যে বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এবং সেখানে গিয়ে ভালো কাজ পাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে কম খরচে যেসব দেশে যাওয়া যায়-

  • সৌদি আরব
  • ভারত
  • কুয়েত
  • মালয়েশিয়া
  • কাতার
  • ওমান

সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ লাগে 

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৫ সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ লাগে এই সম্পর্কে হয়তো অনেকেরই অজানা। সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কে না চায়। সরকারিভাবে বিদেশে গেলে খরচ কম লাগবে এটা জানলেও নির্দিষ্ট কত টাকা লাগবে এ সম্পর্কে অনেকেই জানে না। একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে সরকারি ভাবে বিদেশ গেলে ব্যক্তিগত খরচের থেকে অবশ্যই অনেক কম খরচে যাওয়া যাবে।

সাধারণত আমাদের দেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেলে কমপক্ষে ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। আর যদি আপনি যদি সরকারিভাবে বিদেশ যেতে চান তাহলে আনুমানিক ১ লাখ থেকে শুরু করে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ লাগতে পারে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ ভেদাভেদে কম বেশি খরচ হতে পারে।
প্রয়োজনীয় খরচ ছাড়া সরকারিভাবে বিদেশ যেতে তেমন কোন খরচ হয় না। আর যদি দালালের সাহায্যে কেউ বিদেশ যেতে চাই তাহলে অনেক বেশি পরিমাণে খরচ লাগবে। তাই কম খরচে সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিয়ে তারপর প্রস্তুতি নিতে হবে।

সরকারিভাবে বিদেশ যেতে বয়স কত লাগে

সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত বয়স লাগ এমন একটি প্রশ্ন প্রায় অনেকের মাথায় ঘুরপাক খায়। যারা সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে চায় তারা এই সম্পর্কে বেশি জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে জেনে রাখা ভালো যে একেকটা দেশে যেতে এক এক রকম নিয়ম রয়েছে তাই সেই মতাবেক আপনার ধারণা নেয়া প্রয়োজন। সরকারি ভাবে বিদেশে যেতে বয়স কত লাগে এটা নির্ভর করে আপনি কোন দেশে যাচ্ছেন এবং আপনি শ্রমিক ভিসায় যাচ্ছেন নাকি টুরিস্ট ভিসায় যাচ্ছেন।

বাংলাদেশের একটি নিয়ম রয়েছে সেটি হচ্ছে ১৮ বছরের নিচে যারা তাদেরকে ছোট বা শিশু বলা হয়।তাই আপনি যদি সরকারিভাবে বিদেশ যেতে চান তাহলে আপনার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।বিশ্বের যে কোন দেশে যেতে হলে বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর বা ১৮ বছরের বেশি হওয়া লাগবে। শ্রমিক বিষয় দেওয়ার জন্য মূলত ১৮ বছর হওয়া লাগে।

এছাড়া আপনি যে দেশে যেতে ইচ্ছুক সেই দেশের শ্রমিক ভিসার সর্বনিম্ন কত বছর বয়স লাগে সে সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। আর যদি আপনি টুরিস্ট ভিসা বা চিকিৎসা ভিসায় সরকারিভাবে বিদেশে যেতে চান তাহলে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার বয়সে কোন লিমিট ধরা হবে না।এর মানে হল আপনি যদি টুরিস্ট অথবা চিকিৎসা ভিসায় যেতে চান তাহলে যে কোন বয়সের হলে যেতে পারবেন।

সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এটি হয়তো অনেকেরই অজানা। সরকারি ভাবে বাংলাদেশ থেকে অনেক দেশে যাওয়া যায়। যদি আপনি সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার সমস্ত নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানেন। আর আপনি যদি শ্রমিক ভিসায় অথবা কাজের জন্য বিদেশ ভ্রমন করতে চান তাহলে আপনাকে উল্লেখিত কাজের জন্য দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি কাজের প্রতি দক্ষ হন তাহলে আপনি চাইলে খুব সহজেই সরকারিভাবে যেকোনো দেশে যেতে পারবেন।
সরকারিভাবে-বিদেশ-যাওয়ার-উপায়-২০২৫
সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে যাওয়া যায় যেমন- জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সৌদি আরব, কাতার, ওমান, লেবানন, রোমানিয়া, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, কুয়েত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, লন্ডন, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, সুইজারল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লিবিয়া,জর্ডান, ইটালি, বাহরাইন, জ্যামাইকা, নিউজিল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, থাইল্যান্ড, চীন, মরিশাস, শ্রীলংকা, পোল্যান্ড, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, ব্রুনাই দারুসসালাম ইত্যাদি। সরকারি ভাবে বাংলাদেশ থেকে এই সব দেশ গুলো তে যাওয়া যাবে।

সরকারিভাবে বিদেশ গিয়ে কি কি কাজ পাওয়া যায়

সরকারিভাবে বিদেশ গিয়ে কি কি কাজ পাওয়া যায়  এই সম্পর্কে অনেকেই সঠিক তথ্য না জানার কারণে অনেক সময় বিভ্রান্তির শিকার হয়। আপনি যদি বিদেশ যাওয়ার আগে থেকেই এই সম্পর্কে জানেন তাহলে বিভ্রান্তির হাত থেকে মুক্তি পাবেন এবং এটা আপনার জন্য অনেক ভালো হবে। তাই এবার জেনে নেয়া জাক সরকারিভাবে বিদেশ গিয়ে কোন কোন কাজের মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়-

  • ওয়েটার
  • বাগান পরিদর্শক
  • হাসপাতালে পরিছন্নতা কর্মী
  • নির্মাণ শ্রমিক
  • নার্স
  • সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ার
  • কনস্ট্রাকশন শ্রমিক
  • কম্পিউটার অপারেটর
  • অফিসের দারোয়ান
  • কৃষিকাজ
  • ক্লিনারের কাজ
  • টেইলার্স শ্রমিক
  • ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি
  • ফ্যাক্টরি শ্রমিক
  • ড্রাইভার
  • ধোপা
  • রাধুনী
সরকারিভাবে বিদেশে গিয়ে সাধারণত উপরে উল্লেখিত কাজগুলোর ভিতরে যে কোন কাজ পাওয়া যাবে। এখানে আপনি যে কাজের উপর দক্ষ এবং নিজের উপর বিশ্বাস আছে যে সে কাজে আপনি ভালো মতো পারবেন সেই কাজের বিদেশ যাওয়ার জন্য আবেদন করবেন। আপনার যদি এগুলোর ভেতরে যেকোন কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে অনায়াসে এসব কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।

আর যদি এসব কাজের প্রতি আপনার দক্ষতা না থাকে তাহলে উপরে উল্লেখিত কাজের মধ্যে আপনার যে কাজটি পছন্দ এটির উপর দক্ষতা অর্জন করতে শুরু করুন।আপনি যদি দক্ষতা অর্জন করে সরকারিভাবে বিদেশে যেতে পারেন তাহলে সেখানে কাজ করে আপনি ভালো কিছু করতে পারবেন আশা করা যায়।

সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার পূর্বে করণীয়

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার পূর্বে করণীয় সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেন না যারা বিদেশে যেতে চান সেটা হোক বা সরকারি বা বেসরকারিভাবে বিদেশে যেতে হলে তার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সেগুলো সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। বিদেশ যাওয়ার পূর্বে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপের সম্মুখীন হতে হয়। নিচে বিদেশ যাওয়ার পূর্বে করণীয় কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিন।

  • আপনাকে অবশ্যই বৈধভাবে ও নিরাপদে বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
  • প্রথমে লাভ ও ক্ষতি হিসাব করে পরবর্তীতে বিদায়ী যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিন।কেননা বিদেশে গিয়ে যদি আপনি কাজ না পান এবং আপনার বেশি টাকা খরচ হয়ে যায় তখন আপনাকে আফসোস করতে হবে। তাই আগে এই সম্পর্কে ভালোভাবে ভেবে নিবেন।
  • সংশ্লিষ্ট ডি ই এম ও তে ডাটাবেজ নাম নিবন্ধন করুন।
  • আপনি যে দেশে যেতে চাচ্ছেন সেই দেশের ভাষা জেনে নিতে হবে। এর পাশাপাশি আপনি যেই কাজের ভিত্তিতে বিদেশে যেতে যাচ্ছেন এই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
  • সরকার অনুমোদিত রুটিন এজেন্টের মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণ করতে হবে
  • পাসপোর্ট পাওয়ার পর নিজের পাসপোর্ট নিজের রাখুন এবং ভিসা সংগ্রহ করার পর তা ভালোভাবে যাচাই করুন।
  • সরকারি এবং বেসরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে ভালো করে ভেবে বুঝে টাকা দেওয়ার সময় এবং অন্যান্য বিষয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করবেন।
  • অনুমোদিত যে কোন মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
  • সংশ্লিষ্ট ডি ই এম ও অফিসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আঙ্গুলের ছাপ দিন।
  • বিদেশ যাওয়ার পূর্বে ৩ দিনের ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করতে হবে।
  • বিদেশ যাওয়ার পূর্বে দুইটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে।
  • বিএমইটির স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করতে হবে।
  • প্রত্যেকটি কাগজপত্র ৩/৪ টি করে ফটোকপি করতে হবে। কখনো যদি কোন কাগজ হারিয়ে যায় সে ক্ষেত্রে হয়রানি হতে হবে না।
  • বিদেশ যাওয়ার পূর্বে ভালোভাবে সকল নিয়ম কানুন মেনে তারপর যাত্রা শুরু করতে হবে।

সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য ট্রেনিং করতে কি কি লাগে

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এবার আমরা জানবো সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য ট্রেনিং করতে কি কি কাগজপত্র লাগে। আমরা সাধারণত জানি বিদেশ যাওয়ার জন্য ৩ দিনের ট্রেনিং বাধ্যতামূলক। তবে কোন কোন জায়গায় ৩ দিনেরও বেশি ট্রেনিং করতে হয়। আবার কোথাও শুধুমাত্র ৩ দিন ট্রেনিং করা লাগে।

সাধারণত ভিসা পাবার পূর্বেই ৩ দিনের ট্রেনিং সম্পন্ন করা যায়। আপনি যদি বিদেশ যাওয়ার ভিসা পাওয়ার পূর্বে ট্রেনিং শেষ করতে চান তাহলে আপনার পাসপোর্ট এর ফটোকপিও নতুন করে তোলা দুই কপি ছবি নিয়ে ট্রেনিং এর জন্য আবেদন করতে হবে। তবে এই ট্রেনিং করতে অনেক কিছু প্রয়োজন পড়ে।

তাই বিদেশ যাওয়ার জন্য এই ট্রেনিং করতে হলে আগে প্রথমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেডি করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।এছাড়াও আপনি যদি চান তাহলে আপনার নিজ জেলার সরকারি কারিগরি বিদেশ যাওয়ার ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। তবে এই আবেদন করার সময় কিছু কাগজপত্র লাগবে। সেগুলো হলো-

  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
  • পাসপোর্ট এর কপি
  • সদ্য তোলা দুই কপি ছবি
  • ভিসার ফটোকপি (যদি প্রয়োজন হয়)

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য ট্রেনিং ফি কত

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য ট্রেনিং ফি কত লাগে এ সম্পর্কে এখন আমরা জানতে চলেছি। আমরা ইতিপূর্বে জানলাম যে বিদেশ যাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন ৩ দিন ট্রেনিং করা লাগে। তবে ট্রেনিং করার জন্য ট্রেনিং ফ্রি পরিশোধ করতে হয়। তাই ৩ দিনের ট্রেনিংয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিতে হবে।বর্তমানে বিদেশ যাওয়ার জন্য ট্রেনিং ফি হলো ২০০ টাকা। তবে রেজিস্ট্রেশন এর পূর্বে অবশ্যই আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিয়ে যাবেন কেননা রেজিস্ট্রেশনের সময় তা জমা দিতে হবে।

বিদেশ যাওয়ার জন্য ট্রেনিং সেন্টার

বিদেশ যাওয়ার জন্য ট্রেনিং সেন্টার সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রত্যেককেই ট্রেনিং করতে হয়। তাই বিদেশ যাওয়ার পূর্বে ট্রেনিং সেন্টারের ঠিকানা অথবা ট্রেনিং সেন্টার সম্পর্কে কমবেশি সবার জানা প্রয়োজন। বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনাকে ট্রেনিং করতে হবে এটি আবশ্যক। আপনি যে ধরনের ভিসার উপর গুতায় যেতে চাচ্ছেন সেই ভিসা অনুযায়ী আপনাকে ট্রেনিং সম্পন্ন করতে হবে।

এখন আসি ট্রেনিং সেন্টারে ঠিকানা। বিদেশ যাওয়ার ট্রেনিং সেন্টার প্রত্যেকটি জেলাতেই রয়েছে। আপনি ভালোভাবে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন যে আপনার জেলার ট্রেনিং সেন্টারে ঠিকানাটি কোথায়।আর আপনি যদি কাজের ভিসায় বিদেশ যাওয়ার জন্য ট্রেনিং করতে চান তাহলে টিটিসি (TTC) এর মাধ্যমে ট্রেনিং সম্পন্ন করতে হবে।

সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ২০২৫

সরকারি ভাবে অনেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাই। সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় আছে যদি আপনি তা ভালোভাবে জেনে তারপর সে মোতাবেক কাজ করতে পারেন। বর্তমানে শুধু ইউরোপ কেন বিশ্বের প্রায় ৪০ টি দেশে সরকারিভাবে যাওয়া যাবে যদি আপনি জানেন। আপনি যদি কাজের জন্য ইউরোপ সহ অন্যান্য দেশে যেতে চান তাহলে Ami Probashi অ্যাপ থেকে কিংবা  https://Probashi.gov.bd এই ওয়েব সাইটে গিয়ে তারপর যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য সকল তথ্য দিয়ে সরকারি যাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।
সরকারিভাবে-বিদেশ-যাওয়ার-উপায়-২০২৫Ami Probashi অ্যাপে ঢুকলে আপনি ইউরোপ সহ অন্যান্য অনেক দেশের কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন। এখানে বিশ্বের প্রায় অনেক দেশের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে নোটিশ দেওয়া থাকে। তাই আপনি যদি সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে চান তাহলে এই অ্যাপে ঢুকে বিজ্ঞপ্তি গুলো ভালোভাবে দেখতে পারেন। এরপর বিজ্ঞপ্তি এগুলো দেখে আবেদন করলে সরকারি সহায়তায় কম খরচে ইউরোপ সহ অন্যান্য দেশে যেতে পারবেন।

সরকারি ভাবে ইতালি যাওয়ার উপায় ২০২৫

সরকারিভাবে ইতালি যাওয়ার উপায় ২০২৫ সম্পর্কে এখন আমরা জানতে চলেছি। সরকারিভাবে ইতালি যাওয়ার উপায় আছে যদি আপনি তা ভালোভাবে জেনে তারপর সে মোতাবেক কাজ করতে পারেন। বর্তমানে শুধু ইউরোপ কেন বিশ্বের প্রায় ৪০ টি দেশে সরকারিভাবে যাওয়া যাবে যদি আপনি জানেন। আপনি যদি কাজের জন্য ইতালি সহ অন্যান্য দেশে যেতে চান তাহলে Ami Probashi অ্যাপ থেকে কিংবা https://Probashi.gov.bd এই ওয়েব সাইটে গিয়ে তারপর যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য সকল তথ্য দিয়ে সরকারি যাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।

Ami Probashi অ্যাপে ঢুকলে আপনি ইতালি সহ অন্যান্য অনেক দেশের কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন। এখানে বিশ্বের প্রায় অনেক দেশের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে নোটিশ দেওয়া থাকে। তাই আপনি যদি সরকারি ভাবে ইতালি যেতে চান তাহলে এই অ্যাপে ঢুকে বিজ্ঞপ্তি গুলো ভালোভাবে দেখতে পারেন। এরপর বিজ্ঞপ্তি এগুলো দেখে আবেদন করলে সরকারি সহায়তায় কম খরচে ইতালি যেতে পারবেন।

সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৫ সরকারিভাবে বিদেশে যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে এগুলো তাদের জন্য জানা জরুরী যারা সরকারিভাবে বিদেশ যেতে চায়।যদি আপনি সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে এগুলো জেনে থাকেন তাহলে সরকারী ভাবে বিদেশ যাওয়া আপনার জন্য অনেক সহজ হবে।

এবং খুব সহজে আবেদন করে সরকারি ভাবে বিদেশে যেতে পারবেন। আর যদি আপনার এ সম্পর্কে কিছু জানা না থাকে তাহলে আপনাকে আগে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। নিচে এ সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হয় তা দেওয়া হলো-

  • পাসপোর্ট
  • আপনার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
  • আপনি যে দেশে যেতে চান সেই দেশের ভিসা
  • কর্মসংস্থান চুক্তিপত্র
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • বিমানের টিকিট
  • ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • দুই থেকে তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • দুতাবাসের ঠিকানা ও ফোন নম্বর

লেখকের শেষ কথাঃ সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৫

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৫ সম্পর্কে তাদের জানা জরুরি যারা দালালের সহযোগিতা ছাড়া সরকারিভাবে কম খরচে বিদেশে পাড়ি দিতে চায়। দালালের সহযোগিতায় বিদেশে গেলে টাকার পরিমাণ বেশি লাগে অথচ সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে পারলে অনেক কম খরচে যাওয়া যাবে এবং নিরাপত্তাও অনেক ভালো। তাই আপনি যদি সরকারি ভাবে তাহলে আর্টিকেলে আলোচিত সকল বিষয়ে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে ২০২৫ সালে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার বেশ কয়েকটি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব অথবা আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করে দিন। যাতে এ সম্পর্কে তারাও সঠিক তথ্য জানতে পারে। এছাড়া অন্যান্য সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার আমন্ত্রণ রইল। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url